যশোরে দোকানের কর্মচারি কর্তৃক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
দোকানের কর্মচারী কর্তৃক ৫লাখ টাকা আত্মসাত পূর্বক ফেরত চাইলে প্রাণ নাশের হুমকীর অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ২১ অক্টোবর বিকেলে মামলাটি করেন, যশোর শহরের নলডাঙ্গা রোড, রবীন্দ্রনাথ সড়কের দক্ষিণ অংশ আক্কেল আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম। মামলায় আসামী করেন,যশোর শহরের বকচর,হুশতলার আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন আকাশ।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামী ইসমাইল  হোসেন আকাশকে বিগত ২২/১১/২০১৯ ইং তারিখে বাদির শহরের আর,এন,রোডস্থ সালিমা মেশিনারীজ এ,সেলস এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরী দেন। বাদি সালিমা মেশিনারীজ এর স্বত্বাধিকারী এবং যশোর মটর সাইকেল পার্টস এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। কর্মচারী ইসমাইল হোসেনকে বাদির দোকানে চাকুরী দেওয়ার পর হতে বেশ সুনামের সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানে মটর সাইকেল পার্টস বিক্রয় করে আসছিল। মটর সাইকেল পার্টস বিক্রির যাবতীয় হিসাব তথ্য ক্রেতা সকলের নাম, ঠিকানা সংরক্ষণ ও  কত টাকার মালামাল বিক্রয় করলো তার হিসাস ইসমাইল হোসেন আকাশের কাছে সংরক্ষন করতো। বাদি যথাযথভাবে তার উপর বিশ^াস স্থাপন করেছিলেন। কিন্তুু বছর শেষের পথে বিধায় গত ৩ অক্টোবর  দুপুর ২ টায় বাদি দোকানে বসে  বসে ইসমাইল হোসেন আকা কে কত টাকার মালামাল বিক্রয় করেছে তার হিসাব চাইলে সে বাদিকে পার্টি সামারি ফর সিজন এর ভাউচার দেখায়। যাতে গত ৮ জানুয়ারী হতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত  ইসমাইল হোসেন আকাশ সর্বমোট ৭২লাখ,৩৯ হাজার,নয়শ’ উনিশ টাকা ৮৩পয়সা) টাকার পার্টস বিক্রয় করেছে মর্মে হিসাব প্রদান করে এবং তৎমধ্যে আসামী ইসমাইল হোসেন আকাশ গত ১ মে ভাইভাই অটোস রংপুর হতে ১লাখ টাকা, রানা মটরস্্ গোদাগাড়ী রাজশাহী হতে ১লাখ টাকা, ২৪ আগষ্ট বাইক,ল্যান্ড,ময়মনসিং হতে ১লাখ টাকা, ১মার্চ মোল্লা মটরস্ খুলনা সদর হতে ২লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৫লাখ টাকা নিজ হাতে গ্রহন করেছে। বাদি আসামীর নিকট ৫লাখ টাকা ফেরত চাইলে সে বলে যে, নিজ কাজে উক্ত টাকা ব্যবহার করেছে বলে জানায়। গত ৮ অক্টোবর বাদিকে টাকা ফেরত দিবে না বলে জানান। আসামী বাদির সাথে কোন লেনদেন করেনি বলে জানান।