যশোরে নাশকতা মামলার পলাতক বিএনপি জামায়াতের ৯জন ঢাকা থেকে গ্রেফতার

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে নাশকতা মামলার বিএনপি ও জামায়াতের ৯জনকে ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানাধীন ইকুরিয়া এলাকার চেকপোষ্ট পরিচালনার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর সকালে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার বড় মেঘলা গ্রামের মৃত হাশেম আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান ওরফে এন,সদরের চাঁচড়ার মৃত শামছুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান বুলেট,একই এলাকার মৃত মোনাজাত মোড়লের ছেলে সোহরাব হোসেন ওরফে বাড়ে, ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত বশির বিশ^াসের ছেলে আবু সাঈদ বিশ^াস,একই এলাকার মৃত শহর আলীর ছেলে ফজলুল আলম, চাঁচড়ার শফিউর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামান, বানিয়াবহু গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মোজাহার আলী মোল্লা ও মাহিদিয়া গ্রামের মৃত মোজাহার আলী মোড়লের ছেলে রেজাউল করিম।
কোতয়ালি থানার মামলা নং ১০৪,তারিখ ২৬/০৯/২৩ ইং ধারা ৪/৫/৬ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৯০৮ সালের তৎসহ ১৫(৩), বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৭৪ সাল। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার ইয়াসিফ আকবর জয়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা স্থানীয় বিএনপি জামায়াত শিবিরের উঙ্খৃঙ্খল নেতাকর্মী ও সমর্থক। আসামীরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারের গনমূখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ তথা সরকার পতন ও নিজেদের অগনতান্ত্রিক অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইস্যু বিহীন অবরোধ, ধর্মঘট পালনের নামে দীর্ঘদিন ধরে জনমনে আকংক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সাধারণ জনগনের গাড়ী-বাড়ি, অফিস-আদালত,সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর,অগ্নি সংযোগ,আইন-শ্ঙ্খৃলা বাহিনীদের উপর হামলা,বোমা বিস্ফোরন,মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে আসছে। আসামীরা পূর্বের ন্যায় মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে গত ২৬ সেপ্টেম্বও সকাল সাড়ে ৬ টায় যশোর টু বেনাপোল মহাসড়কের মন্ডলগাতি মাদ্রাসা রোড এর সংযোগ সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান করে মামলার ঘটনা সংঘঠন করে। মামলার ঘটনাস্থল হতে এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত আসামীদের উক্ত মামলায় জব্দ তালিকায় আলামত সহকারে হাতে নাতে ধৃত হয়। উল্লেখিত আসামীরাসহ অন্যান্য আসামীরা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যেয়ে আত্মগোপন থাকে। মামলার তদন্তকালে উক্ত আসামীদেও মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকে। অতপর আসামীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে মর্মে গোপন সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।#