কেশবপুরে চা বিক্রেতা জিল্লু হত্যা  মামলায় স্ত্রী সখিনা খাতুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি 
কেশবপুরের আড়ুয়া গ্রামের চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান জিল্লু হত্যা মামলায় স্ত্রী সখিনা খাতুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোরাচাঁদ দাস। অভিযুক্ত সখিনা বেগম নিহতের স্ত্রী ও লক্ষীপুর সদরের মধ্য চররমনী মোহন গ্রামের মোতাহার পাটোয়ারির মেয়ে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জিল্লু কাটাখালি বাজারের চা দোকানী ছিলেন। চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে বাজার থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানের মধ্যে একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জিল্লুর স্ত্রী সখিনা খাতুন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান কেশবপুর থানার এসআই গোরচাঁদ দাস।
এ মামলা নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত জিল্লুর স্ত্রী সখিনা খাতুনকে আটক করেন। সখিনা খাতুন তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জিল্লু বুকের ব্যাথায় ভুগছিলেন। ঠিকমত হাটাচলা করতে পারকেন না। স্ত্রী সখিনার সাথে মোবাইল ফোনে বেশি কথা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সখিনা আত্মহত্যা করার কথা বলে পাশের একটি বাগানে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনতে জিল্লুও সেই বাগানে গেলে সখিনা তাকে ডোবার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর জিল্লুর গায়ের গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা নিশ্চিত করে চলে যায় সখিনা। পরে সখিনা নিজে বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করে।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।