যশোরে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৪ জনের ৫ বছর করে কারাদণ্ড 

যশোর প্রতিনিধি: যশোর ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় চারজনকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদেন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, চুয়াডাঙ্গা সদরের বাজার বেগমপুর গ্রামের সোন মন্ডলের ছেলে যশোর শহরের শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার ইসহাকের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হোসেন, ঝিনাইদহ সদরের বাজার গোপালপুর গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে ও যশোর শহরের শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা কাজী বাবুল আক্তার, একই এলকার কাশেম আলীল ছেলে মহির উদ্দিন ও পিরোজপুর নজিরপুরের তারাবুনিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে ও খুলনা খালিশপুরের পিপুলস জুট মিলের নিউ কলোনীর বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে,২০০০ সালের ১৯ নভেম্বর রাতে যশোর সদরের বারীনগর বাজারে অপরিচিত কয়েকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় বাজার কমিটির। রাত সাড়ে ৯ টাকার দিকে বাজার কমিটির লোকজন ৪ জনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ ও একটি পাইপগান উদ্ধার করে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ওই চারজনকে থানায় নিয়ে আসে। আটক ৪ জনসহ বাস ডাকাতির উদ্দেশ্যে বারিনগর বাজারে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করে। এ ঘটনায় এসআই এসএম শামছুল হক বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগ আটক ৪ জননের নামউল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে অভিযুক্ত ও নাম ঠিকান না পাওয়ায় দুইজেনর অব্যহতির আবেদন জানিয়ে ২০০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে ওই চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক আসামি আব্দুর রশিদ ও শুকুর আলীকে খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত চারজনই পলাত রয়েছে।