যশোর প্রতিনিধি: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) তিন বন্দি পালিয়েছে। শনিবার রাতে বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রের বন্দিদের বিক্ষোভ ভাংচুরের ঘটনার মধ্যে তারা পালিয়েছে। এঘটনায় থানার জিডি করা হয়েছে।
কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, বিভিন্ন দাবিতে শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কেন্দ্রের ভিতর বিক্ষোভ ও ভাংচুর শুরু করে। এরপর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাত ১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই ঘটনার মধ্যে তিন বন্দি পালিয়ে গেছে। তারা হলো, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম হাতি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে বাপ্পারাজ (১৬), বরগুনার আমতলী থাণার উত্তরগদখালি গ্রামের মোস্তফা কাজীর ছেলে শাকিল (১২) ও নাটোরের কান্দিভিটা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহান (১৬)
তিনি আরো বলেন, তিন বন্দি পালানোর ঘটনায় রোববার (১১ জুলাই) কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, করোনাকালে কেন্দ্রের বন্দিদের বাইরে বের হতে দেয়া হয়না। এজন্য তাদের ক্ষোভ আছে। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ আছে। এছাড়াও সুপেয় পানির সমস্যা আছে। এমন বেশ কয়েকটি দাবিতে বন্দিরা বিক্ষোভ করেছে। আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, বেশকিছু ধরে কেন্দ্রের প্রত্যেক বন্দিদের জন্য দৈনিক ৭২ টাকা করে খাদ্যের বরাদ্দ দাবি তুলে আসছিলো। তাছাড়া কেন্দ্রটিতে আলাদা আলাদা রুমে সিনিয়র জুনিয়র ভেদে খাদ্য সরবাহর ও সুযোগ সুবিধার দাবি তুলেছিলো। সেই দাবিতে শনিবার রাতে বন্দিদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা বিক্ষোভ বন্ধে অভিযান চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোর জেলা পুলিশের শতাধিক সদস্য অভিযান চালান। পরে জেলা প্রাশসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রসঙ্গত. ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন বন্দি কিশোরের হত্যা ও ১৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিল। একাধিক বার তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে কেন্দ্রের বার বার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা৷