যশোরে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির উদ্যোগে স্মারক লিপি পেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে সোমবার বেলা ১১ টায় যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারক পেশ করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারক লিপি গ্রহন করেন স্থানীয় সরকার এডিএল’র উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।বি:দ্র: আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার এডিএল’র উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। ব্রীজ নির্মাণে হাইকোর্টের রায়,বাংলাদেশ গেজেট,বিআইডব্লিউটিএ এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ভৈরব নদসহ অন্যান্য নদীতে সংকীর্ণ সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, শেখ আলাউদ্দীন, পলাশ বিশ্বাস প্রমুখ। স্মারক লিপিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) যশোর হাইকোর্টের রায়, বাংলাদেশ গেজেট (১ এপ্রিল ২০১০), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত উলম্ব ছাড় (াবৎঃরপধষ পষবধাধহপব) রেখে ও নদীর প্রস্থ অনুযায়ী পর্যাপ্ত দৈর্ঘ্যের ব্রীজ নির্মাণের নীতিমালার ছাড়পত্র না নেওয়া এবং নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ভৈরবের উপর ৩টি (সদর উপজেলার দাইতলা, ছাতিয়ানতলা, রাজারহাট), মণিরামপুরের মুক্তেশ্বরী ২টি এবং শর্শা উপজেলার বেতনা নদীতে ২টি সংকীর্ণ ব্রিজ নির্মাণ করছে। ভৈরব নদসহ এসকল নদী প্রবাহমান থাকার সাথে নৌ-চলাচল, নওয়াপাড়া বন্দর, মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন রক্ষা এবং এলাকার জীব বৈচিত্র্যের প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের রায়, গেজেট না মেনে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিএ’র ছাড়পত্র গ্রহণ না করে ঘোষিত নীতিমালার বিরুদ্ধে কাজ করছে। এর ফলে পানি প্রবাহই বাধাগ্রস্ত হবে না নদী সংস্কারের লক্ষ্যও জলাঞ্জলি হয়ে যাবে। যার ফলে অর্থই শুধু অপচয় হবে না আবারও ব্রীজগুলো ভাঙ্গার প্রশ্ন আসবে। এই জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম সরকারের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায়, আপনার জরুরী হস্তক্ষেপে ব্রীজগুলির কাজ বন্ধ ও সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর সুপারিশ জানানো হয়।#