যশোরের নকল সোনা দিয়ে আসল সোনা নিয়ে যাওয়ার চক্রের এক সদস্য আটক

যশোর প্রতিনিধি 
নকল স্বর্ণের সক্রিয় সদস্য সেলিম হাওলাদারকে প্রতারণার শিকার এক নারী পুলিশের সহায়তায় শহরের দড়াটানা এলাকায় দেখে চিনে আটক করেছে। সে খুলনা জেলার রুপসা থানার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের হাজীবাড়ী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে। সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রতারণা মূলকভাবে নকল সোনা খাঁটি সোনা দাবি করে গৃহবধূর কাছে নকল ৩ ভরি সোনার বার দিয়ে কৌশলে স্বর্ণের দু’টি রুলি বালা,২টি চেইন ও এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রোববার ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কোতয়ালি থানায় সংঘবদ্ধ নকল সোনা চক্রের ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন উল্লেখ করে প্রতারণা মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন,ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাত দৌলতপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা খাতুন।, আসামিরা হচ্ছে  রিকশা চালক সেলিম হাওলাদার,খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার ওয়ার্ড নং ০৭ এর মুসা খানের ছেলে বাবু খান ওরফে কালা বাবু,খুলনা সদর থানার টুটপাড়া মেইন রোড,ওয়ার্ড নং ৩০, বাড়ী নং ১৭৪/সি মান্নান শেখ এর ছেলে মেহেদী ইমাম, সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ স্মরনী বাইলেন-১, ওয়ার্ড নং ১৮, বাড়ী নং ৫৫ এর আবুল সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর ও যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত গনি মিয়ার ছেলে লিটন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,গত ১৭ জুলাই বেলা ১২ টায় ওই নারী শহরের পালবাড়ী হতে সেলিম হাওলাদারের অটো রিকশা ভাড়া কওে যশোর শহরের জেসটাওয়ারের চৌরাস্তায় আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন এবং পথিমধ্যে যশোর শহরের আরবপুর এলজিইডি অফিসের বিপরীত পাশের্^ পৌছালে রিকশা চালক রিকশা থামিয়ে রাস্তা থেকে উঠিয়ে কাগজে মোড়ানো সোনার বারের মতো দেখতে একটি পিতলের বার, যার উপরে খোদাই করা টুটু সি ও একটি শ্রী জুয়েলার্স এর ছোট প্যাডের কাগজে তিন ভরি সোনাসহ অন্যান্য লেখা কাগজ দিয়ে বলে কাগজে কি লেখা আছে তা তাকে পড়ে শোনানোর জন্য। রিক্সা থামানোর সাথে সাথে সেলিম হাওলাদারসহ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা এসে বলে আপা আপনার কপাল খুলে গেছে। আসামীর কথামতো সরল বিশ^াসে কাগজটি খোলার সাথে রিক্সা চালক সেলিম হাওলাদারসহ তার সহযোগী আসামীরা বাদিকে প্রলোভন দিয়ে বলতে থাকে এই স্বর্ণের বারের দাম অনেক হবে আপনি এই গরীব রিক্সা চালককে অল্প কিছু টাকা দিয়ে এই স্বর্ণ নিয়ে যান। বাদির কাছে নগদ টাকা  না থাকায় আসামীরা বাদির নিকটে থাকা স্বর্ণের গহনা দিতে বলে। বাদি আসামীদেও প্রলোভনে পড়ে তার হাতে ও গলায় থাকা ২টি সোনার রুলি বালা,১টি চেইন ও এক জোড়া কানের দুলসহ মোট ২ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পর বাদি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছে। পরে তিনি গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় শহরের দড়াটানা এলাকায় প্রতারক চক্রের অটো রিকশা চালক সেলিম হাওলাদারকে দেখে চিনতে পারেন। রিকশা চালক বাদিকে চিনতে পারেন। এ সময় বাদি ডাক চিৎকার দিলে পুলিশের সহায়তায় প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য রিকশা চালক সেলিম হাওলাদারকে আটক করে। পরে তাকে কোতয়ালি থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে প্রতারনা মামলায় আসামী করেন। সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রতারককে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।#