যশোরে প্রকাশ্যে চুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাই ও মোটর সাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা ॥ গ্রেফতার-১

বিশেষ প্রতিনিধি
পূর্ব শত্রুতার কারনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা  প্রকাশ্যে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর মোটর সাইকেল গতিরোধ করে ছুরিকাঘাতসহ নগদ টাকা ছিনতাই, মারপিট ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর রাতে মামলাটি করেন আহত যুবক নাইমুজ্জামান জিতুর পিতা যশোর শহরের বারান্দীপাড়া ১নং ওয়ার্ডের আয়ূব হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন রাজিব। পুলিশ মামলায় এজাহার নামীয় আসামী তাওছিরকে গ্রেফতার করেছে। সে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার তখলপুর দক্ষিণপাড়া (চাচার নাম সবুর)বর্তমানে যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বিসিএমসি কলেজের দক্ষিণপাশের্^ নুর আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। মামলায় আসামী করা হয়েছে,শহরের বারান্দীমোল্যাপাড়া বিসিএমসি কলেজের পাশে মতিয়ার রহমানের ছেলে শাওন আহম্মেদ টিপু,তাওছির, বারান্দীপাড়া কদমতলা ঢাকা রোডের বাবুর ছেলে দ্বিপনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা চুরি,ছিনতাই,মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। বাদির ছেলে নাইমুজ্জামান জিতু অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করে। লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ায়। আসামীদের সাথে বাদির ছেলে নাইমুজ্জামান জিতুর পূর্ব হতে শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সে কারনে আসামীরা বাদির ছেলেকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বও বিকেল সাড়ে ৪ টায় বারান্দী কদমতলাস্থ জনৈক রফিকুল ইসলামের মেয়েকে প্রাইভেট পড়ায়ে মোটর সাইকেল যোগে  নাইমুজ্জামান বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে বারান্দীপাড়া কদমতলা আলাউদ্দীনের বাড়ির সামনে পৌছানোর সাথে সাথে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে ধারালো দা ও চাকুসহ বাদির ছেলের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। শাওন আহম্মেদ টিপু জিতুর ঠোটের উপর চাকু দিয়ে আঘাত করে। তাওছির জিতুর মাথার পিছনে চাকু দিয়ে কোপ মারে। দ্বিপনসহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা সহযোগী আসামীরা বাদির ছেলেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে  রক্তাক্ত ও ফোলা জখম করে। বাদির ছেলে মাটিতে পড়ে গেলে শাওন আহম্মেদ টিপু ও তাওছির তাদের সহযোগীদের সহায়তায় জিতুর গলা চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। শাওন আহম্মেদ টিপু তাওছিরের সহযোগীতায় জিতুর পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। জিতুর কাছে থাকা জিকছার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধণ করে। শাওন আহম্মেদ টিপু পুনরায় চাকু মারতে গেলে নাইমুজ্জামান  জিতু ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে হত্যা করবে বলে হুংকার দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন জিতুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।এ ঘটনায় পুলিশ রোববার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাওছিরকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।