যশোরে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় খালাস  পেয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা 

যশোর অফিস 
যশোরে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা খালাস পেয়েছেন। সাক্ষীদের বক্তব্যে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার এক রায়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল এ আদেশ দিয়েছেন। মাসুদ রানা পাবনা সাঁথিয়া থানার আফতাব নগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাসুদ রানার আইনজীবী রুহিন বালুজ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সাথে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঝিনাইদাহ কালীগঞ্জের আড়পাড়া গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে ফারজানা নাসরিনের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পূর্বের বিয়ে গোপন করে ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন মাসুদ রানা। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে ৫ লাখ টাকার মালামাল ও ২ লাখ টাকার স্বর্ণলংকার দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে মাসুদ রানা ঢাকার পূর্বচলে প্লট কেনার জন্য তার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ৫ লাখ টাকা মাসুদ রানাকে দেয়া হয়। বাকি ৫ লাখ যৌতুকের জন্য মাসুদ রানা তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট মাসুদ রানা শ্বশুর বাড়ি এসে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে চলে যান। এরপর বেশ কয়েকবার মীমাংসায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর যৌতুক নিরোধ আইনে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান করতে সক্ষম না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দিয়েছেন।