যশোর সদর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ 

যশোর প্রতিনিধি
সদর উপজেলা পরিষদে অবস্থিত সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ডিজিটাল কম্পিউটার দোকানের মালিক শহিদুল ইসলাম প্রতিবন্দিদের সনাক্ত করণ প্রতিপিচ জরিপ ফরম চড়া মূল্যে বিক্রি করাসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা প্রতিবন্দিদের কার্যক্রমকে পুঁজি করে মাসে হাজার টাকা উপার্জনের টার্গেট নিয়ে হয়রানী করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে,যশোর সদর উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে ডানপাশে পূর্বে ডিজিটাল কম্পিউটার দোকান। উক্ত দোকানের মালিক শহিদুল ইসলাম সদর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহারের সাথে যোগসাজস করে প্রতিবন্দিদের জন্য ব্যবহারের যোগ্য প্রতিপিস ফরম ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে। শুধু তাই নয় ফরমে শহিদুল ইসলামের দোকানের সীল ছাড়া ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহার গ্রহন করেন না। তার কারণ একপিস ফরম শহিদুল ইসলাম প্রতিবন্দিদের কাছে বিক্রী করলে শহিদুল পান ২০ টাকা সমাজ সেবা কার্যালয়ের ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহার পান ৩০ টাকা। সূত্রটি বলেছেন, শহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্দীদের ফরম নিয়ে ফটো কপি করে ফরমের উপরে সীল মেরে রেখেছে। প্রতিবন্দীদের আত্মীয়স্বজন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিপিস ফরম ৫০ টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তাইনয় অন্য কোথাও থেকে প্রতিবন্দ্বীদের ফরম সংগ্রহ করলে দোকানের সীল ছাড়া ফিল্ড সুপার ভাইজার গ্রহন করেন না। সেক্ষেত্রে চরমভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিবন্দ্বীদের আত্মীয়স্বজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবন্দীদের কয়েকজন আত্মীয় অভিযোগ করেন, ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহার প্রতিবন্দীদের সুবর্ণ নাগরিক কার্ড (পরিচয় পত্র) দেওয়ার সময় প্রতিবন্দীদের কাছ থেকে মাথাপিছু রশিদ ছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২০ টাকা হারে গ্রহন করেন। যারা কার্ড নিতে আসে অথচ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাদেরকে হয়রানী করেন বিভিন্ন ভাবে। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছেন, সম্প্রতি চলতি মাসের ১০ আগষ্ট থেকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার পর্যন্ত বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্দীদের কাছ থেকে ভাতা দেওয়ার জন্য অন লাইনে আবেদন গ্রহন কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেখানে সদর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে প্রতিদিন বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্দী ভাতা পাওয়ার আশায় খোঁজ খবর নিতে গেলে ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহার,কর্মরত সহকারী সমাজ সেবা অফিসার আফরোজা সুলতানা আবেদন কারীকে শহিদুলের দোকানে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। শহিদুলের দোকান থেকে অন লাইনে আবেদন করলে শহিদুল ইসলাম ১শ’ টাকা রেখে বাকী ১শ’ টাকা সমাজ সেবা দুই কর্মকর্তার জন্য রেখে দিচ্ছেন।এছাড়া, সদর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে কর্মরত ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিন নাহার ও সমাজ সেবা অফিসার আফরোজা সুলতানা প্রতিবন্দী,বয়স্ক ও বিধবা প্রাপ্তি নারী পুরুষকে পুঁজি করে প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জনে বিভিন্ন কৌশল গ্রহন করছেন। ফিল্ড সুপার ভাইজার নাছরিণ নাহার ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্য্য বলে দাবি করেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।