যশোর মাগুরা মহাসড়কেরর  লেবুতলায় বাসের ধাক্কায়  ইজিবাইকের সাত যাত্রী নিহতর ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
শুক্রবার ৭ জুলাই বিকেলে যশোর মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা বাজারে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন যাত্রীবাহী রয়েল ডিলাক্স বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালক ও যাত্রীসহ ৭জন নিহতর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় উক্ত বাসের অজ্ঞাতনামা চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার ৮ জুলাই গভীর রাত ১২ টার পর মামলাটি করেন,যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর (মুন্সিপাড়া) গ্রামের আব্দুল মান্নান মুন্সির ছেলে ছোটন হোাসেন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তিনি গ্রামের মুদী দোকানের ব্যবসা করেন। গত ৭ জুলাই শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৬ টা বেজে ২৫ মিনিটের সময় যশোর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড হতে একটি ইজিবাইক যোগে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সময় ইজিবাইকের ড্রাইভার ইমরান হেসেন মুন্নাসহ ইজিবাইকের মধ্যে তার ভাবী মাহিমা (৪৫),ভাতিজি সোনিয়া (২৫), বাদির ভাবীর বোন ফাহিমা (৩৫),ফাহিমার মেয়ে জেবা (৭),বাদির ভাতিজির ছেলে হাসান (৩), সোহাইন (৩),বাদির পুতনি ফাতেমা (৫)গণ রওয়ানা করে। পথিমধ্যে বিকেল সাড়ে ৬ টায় লেবুতলা বাজারে পৌছানো মাত্রই যশোর হতে মাগুরাগামী যাত্রীবাহী বাসা (রয়েল ডিলাক্স) যার রেজিষ্ট্রেশন নং (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৩৮৭৬)এর অজ্ঞাতনামা চালক বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে বাস চালিয়ে ইজিবাইকের মুখোমুখী সজোরে ধাক্কা দেয়। স্বজোরে ধাক্কা দেওয়ার ফলে ইজিবাইকটি যাত্রীবাহী রয়েল ডিলাক্স বাস এর নীচে চলে যেয়ে ঘটনাস্থলে মাহিমা,ফাহিমা, হাসান মারা যায়। স্থানীয় লোকজন জেবা,ইমরান, মুন্না, হোসাইন,ফাতেমা এবং সোনিয়াদের গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেবা,ইমরান,মুন্না,হোসাইন মারা যায়। বর্তমানে ফাতেমা ও সোনিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দূর্ঘটনার পর পুলিশ বাসটি ও ইজিবাইকটি হেফাজতে নিয়েছেন। শনিবার সকালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করেছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ উক্ত বাসের চালকের সন্ধান করতে পারেনি।