যশোরের মণিরামপুরে মামুন গাজী হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি 
মণিরামপুরের খোজালিপুর মামুন গাজী হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, খোজালিপুর গ্রামের আব্দুল জলিল মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ, আনার গাজীর ছেলে আক্তারুল ইসলাম, মাহমুদের ছেলে লাভলু, মিজানুর গাজীর ছেলে আলতাফ, মোশারেফের ছেলে ফারুক, মনু দফাদারের ছেলে জসিম দফাদার, ইউসুফ আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন, দ্বীন আলী দফাদারের ছেলে ইসরাইল, মিন্টু দফাদার, জাহাতাবের ছেলে আখের, বক্কার বিশ্বাসের ছেলে ইজ্জত, সানাউল্লাহর ছেলে আনিছুর রহমান ও রজলুর রহমানের ছেলে বেনজীর গাজী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে তার পরিচিত জসিম দফাদার মোবাইল ফোন করে মাঝেরপাড়া মসজিদের সামনের রাস্তায় এসে দেখা করতে বলেন খোজালিপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে মামুন গাজীকে। তখন মামুন গাজী সেখানে গেলে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা জসিম দফাদার, সিরাজ, আক্তারুল, লাভলু, আলতাফ, ফারুক, সোহাগ, ইসরাইল, মিন্টু দফাদার, আখের, ইজ্জত ও আনিছুর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আচমকা তার ওপর হামলা করে। বেধড়ক মারধরে মামুন গাজী গুরুতর জখম হন। গুরুতর আহত মামুন গাজীকে পরদিন সকালে মণিরামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মারা যান মামুন গাজী। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মশিয়ার রহমান ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক দিপক কুমার দত্ত এজাহারভুক্ত ১২ জন অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার বাদী মশিয়ার রহমান এ চার্জশিটের ওপর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিচারক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মামুন গাজী এলাকায় চোর হিসেবে পরিচিত। ঘটনার দিন ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে খোজালিপুর গ্রামে মামুন গাজীর সাথে তার পূর্ব পরিচিত কদমবাড়ীয়া গ্রামের আরমান হোসেনের দেখা হয়। তারা খোজালিপুর গ্রামের হরিহর নদীর পাড়ে কথা বলছিল। তখন এলাকার লোকজন তাদেরকে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার ধরে ফেলে। একপর্যায়ে তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার তাইজুল ইসলাম মিলন সেখানে গিয়ে মামুন গাজী ও আরমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে মামুন গাজী মারা যান। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় এজাহারনামীয় ১২ জনসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা