যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুর পশ্চিমপাড়ায় মারামারির ঘটনায় পাল্টা মামলা হয়েছে। এবার ওই গ্রামের গৃহবধূ রেশমা বেগমকে (৩০) বেধড়ক মারপিট এবং বাড়িঘর ভাংচুর লুট করা হয়েছে। মামলাটি করেন গৃহবধূর ভাই মণিরামপুর উপজেলার ভোমরদা গ্রামের রেজাউল ইসলাম। মামলায় আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে একটি মামলার বাদি খালেদুর রহমান টিটো (৩৮) ও তার ভাই মুকুল হোসেনকে (৪২)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গৃহবধূর স্বামী মিলন কুয়েতে চাকরি করেন। ১০ বছরের ছেলে নিয়ে রেশমা শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে খালেদুর রহমান টিটো প্রায় সময় ওই বাড়িতে যেতো এবং রেশমাকে নানাভাবে বিরক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি রেশমা। তাকে (টিটো) বাড়িতে নিষেধ করলে টিটো ক্ষিপ্ত হয়। গত ৩০ জুন সকালে আসামিদ্বয় ওই বাড়িতে যায়। সেসময় উঠানে রেশমা কাজ করছিলেন। আসামিরা একটি দা দিয়ে পেছন থেকে রেশমাকে লক্ষ্যকরে মাথায় কোপ মারে। এতে রেশমা গুরুতর জখম হন। পরে তারা রেশমার ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র নছনছ মরে। ঘরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে নেয়। এছাড়া রেশমার গলাই থাকা এক ভরি ওজনের একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় প্রতিবেশি হেলাল ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে। এবং হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ওই রেশমাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় খালেদুর রহমান টিটো বাদি কোতয়ালি থানায় রেশমা ও হেলালকে আসামিকে একটি মামলা করেন। টিটোর দাবি পাওনা টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে হেলাল টিটোকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারপিট এবং আরো ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।