জনতা ব্যাংকে মাস্টার রোলে চাকরি দেয়ার নামে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে মাস্টাররোলে ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নামে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোর জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা নুর নবীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার যশোর শহরতলীর তরফ নওয়াপাড়ার হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামি নুর নবী ভোলা চরফ্যাশনের আদর্শপাড়ার শাহে আলমের ছেলে। তিনি বর্তমানে জনাতা ব্যাংক চরফ্যাশন শাখায় কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আব্দল করিম মন্ডল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরতলীর তরফ নওয়াপাড়ার হাফিজুর রহমান উপশহর জনতা ব্যাংকে হিসাব থাকায় যাতায়াতের সুবাদে আসামি নুর নবীর সাথে ২০১৮ সালে পরিচয়। একদিন তিনি জানান ব্যাংকে মাস্টার রোলে যারা চাকরি করতেন এমন অনেকে চলে যাওয়ায় সারাদেশে প্রায় ৩শ পদ শুন্য হয়েছে। এ সব পদে দ্রুত নিয়োগ দেয়া হবে বলে তিনি তাকে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন কিছু লোক দিতে বলেন। তিনি অফিসার পদে ১২ লাখ এবং পিয়ন পদে ৮ লাখ টাকা করে লাগবে বলেও জানিয়ে দেন। নুর নবীর কথায় বিশ্বাস করে হাফিজুর রহমান নিজেসহ আরও ৯ জন চাকরি করতে রাজি বলে তাকে জানানো হয়। এরপর তার দেয়া শর্ত অনুযায়ী এ ৯ জনের চাকরি বাবদ তাকে ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া আরও ২৫ লাখ টাকার লিখে দুইটি চেকের পাতা তাকে দেয়া হয় ২০২২ সালের ২১ জুনের মধ্যে। এরপর নিয়োগপত্র না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। ফোনে নুর নবীর সাথে যোগাযোগ করলে নিয়োগপত্র না দিয়ে নানাভাবে হুমকি দিতেন। গত ১৬ জুন বিকেলে নুর নবীকে যশোর উপশহর জনতা ব্যাংকের দিকে যেতে দেখে সাক্ষীদের সংবাদ দিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন। #