যশোরে মাম পানির বোতলে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সাবেক স্বামী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগে মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
পানির বোতলে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে এক গৃহবধূ (৪৯)কে সাবেক স্বামী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার ১২ জুন দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন, শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের এক গৃহবধূ। মামলায় আসামী করেন, যশোর সদর উপজেলার সরুইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে আবু দাউদ ওরফে খোকনকে।
মামলায বাদি উল্লেখ করেন,তিনি যশোর সদর হাসপাতালের সামনে বিল্ডিংয়ের নীচতলায় কমটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আয়া পদে চাকুরী করেন। আসাবমী আবু দাউদ ওরফে খোকন ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক গত ২০১৯ সালের ৫ আগষ্ট ১লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গৃহবধূকে তার পিতার বাড়িতে রেখে খোকন ঘর সংসার করে ও একত্রে রাত্র যাপনসহ বাদির সাথে শারীরিক মেলামেশা করতে থাকে। আসামীর স্বভাব চরিত্র ভাল না এবং বাদিকে ভরণ পোষন না দেওয়ায় বাদি যশোর সদর বিজ্ঞ আদালতে পারীজারী মামলা নং ২৮/২০ ইং দায়ের করেন। ১ জুন আসামী খোকন বাদিকে তালাক দেয়। এর পর থেকে আসামী বাদির কর্মস্থলে এসে বাদিকে পুনরায় বিয়ের জন্য ফুসলাইয়া খারাপ কাজ করার জন্য কু-প্রস্তাব দেয়। আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাদিকে ক্ষতি করার জন্য খুজতে থাকে। গত ৭ জুন রাত ৮ টয় সদর হাসপাতালের সামনে বিল্ডিংয়ের নীচতলায় কমটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আল্ট্রাসাউন্ড কক্ষের মধ্যে আসামী বাদির সাথে কথা আছে বলে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়ে ফুসলায়। বাদির পানি পিপাসা লাগাই পানি খাওয়ার জন্য নিচে আসতে চাইলে আসামী নিজেই পানি এনে দেওয়ার নাম করে বাদিকে ঐ ঘরের মধ্যে বসিয়ে আসামী নীচে আসে একটি প্লাস্টিকের মাম পানির বোতলে পানিতে ঘুমের ঔষধ কৌশলে মিশিয়ে বাদিকে খেতে দেয়। বাদি সরলমনে আসামী দেয়া ওই পানি পান করার সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামী বাদির ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বাদি জ্ঞান ফিরিয়ে বাদির শারীরিক অবস্থা লক্ষ্য করে বুঝতে পারে খোকন তাকে র্ধর্ষন করেছে আসামীকে ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রতিবাদ করলে বাদিকে চুপ থাকতে বলে হুমকি দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে বের করে যাওয়ার সময় দড়াটানা মসজিদ গলির মধ্যে এনে পৌছালে খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বাদিকে জানায় ২৫টি ঘুমের ঔষধ (বড়ি) ওই মাম পানির বোতলে দিয়ে বাদিকে পান করায়। দড়াটানা মসজিদ গলির মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। দড়াটানা মসজিদ গলির পথচারীর অজ্ঞাত লোকজন বাদিকে চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞান ফিরে যশোর সদর হাসপাতালে রয়েছে নিজেকে দেখতে পাই। পরে উপায়ুন্তর না পেয়ে কোতয়ালি থানায় আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান ধর্ষক খোকনকে গ্রেফতার করতে পারেনি