যশোর প্রতিনিধি: জাল টাকা নিয়ে বিকাশ করতে এসে জনগনের হাতে তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবক ধরা পড়েছে। সে যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন বিশ^াসের ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার পালবাড়ি কবরস্থান রোডের মৃত শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলম জানান, মঙ্গলবার ২৯ জুন সকালে শহরতলী পালবাড়ী তেঁতুলতলা মোড়স্থ আশরাফিয়া কম্পিউটারের দোকানে তরিকুল ইসলাম আসেন। তিনি উক্ত কম্পিউটারে দোকানের পাশাপাশি বিকাশের লেনদেন থাকায় তরিকুল ইসলাম ২ হাজার টাকা বিকাশ লেনদেন করার জন্য দিলে আশরাফুল আলমকে দেয়। টাকা হাতে পেয়ে আশরাফুল আলম তরিকুল ইসলামকে জাল টাকার বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করে। তরিকুল ইসলাম কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ দিতে না পারায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আশপাশের লোকজন ডেকে তরিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে কোতয়ালি মডেল থানা থেকে একদল পুলিশ এসে তরিকুল ইসলামকে দু’টি ১ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার করে। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে। #
যশোরে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও লাইনম্যানকে
মারপিটের ঘটনায় মামলা,আসামি ৩জন গ্রেফতার-১
বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ (চিত্রামোড়) এর উপসহকারী প্রকৌশলী ফখরুল আলম ও লাইনম্যান এবিএম আব্দুল ওয়াদুদকে মারপিটে জখম করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই জোনের সহকারী প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন মঙ্গলবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
আসামিরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর রাইফেল স্কুলের পাশের আলহাজ্ব বজলুর রহমানের দুই ছেলে বাকি (৩৫) ও রফিক (৩৭) এবং সদর উপজেলার ভগবতীতলার মৃত লোকমান বিশ্বাসের ছেলে ইমরান হোসেন (২৮)।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ঝুমঝুমপুর, হামিদপুর ময়লাখানা, আদর্শপাড়া, বিজিবির রিজিওন অফিসসহ আশেপাশের এলাকায় জরুরী সংরক্ষণ ও মেরামতের জন্য ইতোপূর্বে মাইকিং করে জনসাধারণকে জানানো হয় বিশেষ কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ওইদিন উপসহকারী প্রকৌশলী ফখরুল আলম বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের মেইনগেটের বামপাশে কাজ করছিলেন। এ সময় আসামিরা সেখানে গিয়ে রাগন্বিত হয়ে কর্মীদের গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রকৌশলী ফখরুল আলমকে মরপিট করে। কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় লাইনম্যান ওয়াদুদ ঠেকাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিটে জখম করে। আসামিরা পরে হুমিক দিয়ে চলে যায়। আসামিরা সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি মারপিট করে। এই ঘটনা শোনার পর পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শক করে। এবং আসামি ইমরান হোসেনকে আটক করে।