যশোর থেকে নিখোঁজ মামুন উদ্ধার অপহরনকারি আরিফ আটক

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারপিটের অভিযোগে শংকরপুরের আরিফুল ইসলাম আরিফকে আটক করেছে র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। বুধবার (৭জুন) গভীর রাতে সাত মামলার আসামি আরিফের শংকরপুরের অফিস থেকে ভিকটিম শওকত হায়াত মামুনকে উদ্ধার ও আরিফকে আটক করা হয়। আরিফ ওই এলাকার সৈয়দ মনিরুল ইসলামের ছেলে। এ সময় আরিফের সহযোগী বারান্দীপাড়ার সনি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী শওকত হাসান মামুনের জামাই ইমরান খান বাদী হয়ে আরিফ, সনিসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ইমরান মাগুরা জেলার সাতদোহা পাড়ার তোফাজ্জেলে হোসেন খানের ছেলে।
মামলায় মামুন উল্লেখ করেন, তার শ্বশুর মাগুরার মোহাম্মদপুরের শওকত হায়াত মামুন যশোরে দীর্ঘ তিনবছর সদরের পূরবী এগ্রো ইন্ডাজস্ট্রিজ লিঃ কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে চকুরি করতেন। চাকুরির সুবাদে আরিফের সাথে পরিচয় হয়। ব্যবসায়ীক কারণে বিভিন্ন সময় আরিফের সাথে টাকা লেনদেন হয়। ব্যবসার কাজের জন্য আরিফের কাছ থেকে মামুন সাড়ে চারলাখ টাকা নেয়। গত ৬ জুন সকালে মাগুরা থেকে ব্যবসায়ী কাজে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মামুন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। শ্বশুরকে পাওয়া না যাওয়ায় জামায় র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের বিশেষ একটি টিম অভিযান চালিয়ে বুধবার আরিফের অফিস থেকে মামুনকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে আটক করা হয় আরিফকে। উদ্ধারের পর মামুন জানায়, ওইদিন দুপুর ১২ টায় দড়াটানা থেকে আরিফ, সনিসহ অন্য আসামিরা তাকে আটকে রেখে সাড়ে চারলাখ টাকা দিতে বলে। এ টাকা পরে দেয়ার কথা বললেই মামুনকে আসামিরা শংকরপুর আরিফের অফিসে নিয়ে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায় হত্যার হুমকিও দেয়। পরে র‌্যাব যেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুল হক বলেন, আরিফ চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#