বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে জনগণের মাঝে ভয়েস কল যশোরে

যশোর প্রতিনিধি বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ২(দুই) লাখ ৪(চার) হাজার ৫০০(পাঁচশত) টি ও মোস্তফা আশীষ ইসলামের ২(দুই) লাখ ৪(চার) হাজার ৫০০(পাঁচশত)টি সর্বমোট ৪(চার) লাখ ৯(নয়) হাজার টি ভয়েস কল চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার ভোটার সাংবাদিক সাহ শুভাকাঙ্খীদের প্রেরণ করা হয়।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ভয়েস কলে বলা হয়, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছয় দফা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।আমি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্র্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী সেই সময় আমার বিরল সৌভাগ্য যে, আমি ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বায়ত্ব শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ৬ দফার গুরুত্ব এত বেশি ছিল যে কারণে ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তি সনদও বলা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ৬ দফা ই ছিল অধিকার আদায়ের দলিল। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা রইল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।”
এবং মোস্তফা আশীষ ইসলামের ভয়েস কলে বলা হয়,“ ৬ দফা কর্মসূচি ছিল দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তির মূলমন্ত্র। ৬ দফায় বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে দেখিয়েছিলেন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়।  আসুন বাঙালীর মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেই। মোস্তফা আশীষ ইসলাম সদস্য , যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।”
এছাড়া, মোস্তফা আশীষ ইসলামের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার ১২(বার) জন বীর মুক্তিযাদ্ধার বাড়ি বাড়ি যেয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সহ জয় বাংলা স্লোগান সম্বলিত পাঞ্জাবি উপহার প্রদান, ঝিকরগাছা ও চৌগাছা পৌরসভার মেয়র বরাবর সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সাফল্য ডিজিটালি তুলে ধরার জন্য এলইডি ডিসপ্লে অস্থায়ী স্থাপনের অনুমতি প্রার্থনা প্রদান এবং ঝিকরগাছা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে দেওয়াল লিখন ও ব্যানার উত্তোলন কার্যক্রম করা হয়।