চৌগাছার বিল ইজারা নিয়ে মানববন্ধেনে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মানহানি ঘটনানোর অভিযোগে চেয়ারম্যানের মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
চৌগাছার লস্করপুর বিল ইজারা নিয়ে মানববন্ধনে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মানহানি ঘটনানোর অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত) আবুল কাশেম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, চৌগাছার মনমথপুর গ্রামের রুহুল আমিন পান্নুর ছেলে ইমরান হোসেন, আওরঙ্গজেব চুন্নুর ছেলে শামিম রেজা, বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের হরিপদ ও ইন্দ্রজিৎ, দীঘল সিংহা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বায়জিদ হোসেন কাঠু ও নুর ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম রকি।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি চৌগাছা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১০ মে চৌগাছা উপজেলা পরিষদ চত্তরে এক মানবন্ধ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আসামি ইমরান হোসেন পান্নু কুরুচিপূণ বক্তব্য প্রদান করেন। মানববন্ধনে হরিপদ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য লিখে প্লাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে রখেন। এ সব বক্তব্য প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এ দিন বিকেলে  ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থানকালে সাক্ষীদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
প্রকৃত পক্ষে, চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তরভুক্ত বেড় গোবিন্দপুর বাওড় পরিচালনার জন্য ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর দরপত্র আহবান করা হয়।  নিবন্ধনভুক্ত মনমথপুর বেড় গোবিন্দপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড জলমহল ইজারার জন্য দরপত্র জমা দেন। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লস্করপুর বিল ৩ বছরের জন্য ইজারা প্রদান করেন। এদিন ডেপুটি কালেক্টরের নোটিশ পেয়ে সমিতির নির্বাহী কমিটি ইজারা মূল্য পরিশোধ করে ভোগদলখ শুরু করেন। চেয়ারম্যান এ মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য নয়। আসামিরা জলমহলের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মনমথপুর বেড় গোবিন্দপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নেতৃবৃন্দের কাছে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে নানা অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে আসামিদের চাঁদবাজি করতে নিষেধ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা মানববন্ধ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মানহানি ঘটনানোয় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।