যশোরে নৈশ্য প্রহারীর কাছে চাঁদা দাবি ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রেফতার-১

বিশেষ প্রতিনিধি
চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবার নৈশ্য প্রহরীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মারপিট পূর্বক চাঁদা স্বরুপ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করে ছুরিকাঘাত করে নগদ ৩০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার ২৭ মার্চ রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর হঠাৎপাড়ার মুতাছিন হাওলাদারের স্ত্রী মোছাঃ হাসিনা বেগম। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামী সুমন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। সে শহরের খোলাডাঙ্গা কদমতলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মামলার আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার ধর্মতলা খোলাডাঙ্গা গ্রামের মোমিন বুড়োর ছেলে বাবু, একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে নাজু, সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা কদমতলার আব্দুল মালেকের ছেলে সুমন, খোলাডাঙ্গা হঠাৎপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন ও ধর্মতলার আরজ মোল্লার ছেলে হিরো সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন।
মামলায় বাদি বলেন, আসামীরা চাঁদাবাজি,ছিনতাই,খুন খারাবিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বাদির ছেলে আব্বাস উদ্দীন সজল (২৮) বাড়ির পাশে আরিফ এর নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে নাইট গার্ডের চাকুরী করে। বেশ কিছুদিন পূর্ব হতে আসামীরা বাদির ছেলে সজলের নিকট ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। বাদির ছেলে আসামীদের চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আাসামীরা সজলসহ তার প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করার হুমকী দেয়। আসামীরা ইতিপূর্বে বাদির ছেলের নিকট হতে ২০ হাজার টাকা চাঁদা হিসাবে গ্রহন করে। এক পর্যায় গত ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৯ টায় সুজলপুর হঠাৎপাড়া জনৈক আরিফ এর নির্মানাধীন ভবনের সামনে সকল আসামীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাদির ছেলের নিকট পূর্বের দাবিকৃত চাঁদার টাকা চাইলে বাদির ছেলে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে সুমন হোসেনের ছেলে হুকুমে বাবু ধারালো চাকু দিয়ে সজলকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার বুকের বাম পাশে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। নাজু ও সুমন লোহার রড ও বাঁশে লাঠি দিয়ে সজলের শরীরে এলোপাতাড়ীভাবে পিটিয়ে জখম করে। হিরো সোহেল সজলের গলা চিপে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সজল মাটিতে পড়ে গেলে বাবু সজলের কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। তখন বাদির ছেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায়  বাদির ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা অবনিত হলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। বর্তমানে সজল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছেলে জখমের ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী সুমন হোসেনকে মঙ্গলবার ২৮ মার্চ রাত দেড়টার পর খোলাডাঙ্গা রেলক্রসিং পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে ঘটনার কাজে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করে। পরে তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।#