যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরতলীর ভাতুড়িয়ার বৃদ্ধ হাসেম আলী হত্যা মামলায় বহুলালোচিত নুরু মুহুরীসহ আট জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে যশোর পিবিআই। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পিবিআই’র পরিদর্শক শামীম মুসা। এছাড়া হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ১০ জনকে অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে ওই চার্জশিটে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত ওসমান আলী মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরী, মৃত আকবর আলী ছেলে মিন্টু আলী খান, আব্দুল কাশেমের ছেলে কবিরুজ্জামান কাজল, ইন্তাজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন, ওয়াজেদ আলীর ছেলে আলামিন, মৃত আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে আসানুর রহমান আহসান, মান্নানের ছেলে বিপ্লব হোসেন বাপ্পি ও রবিউল গাজীর ছেলে ইমরান হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রাতে ভাতুড়িয়ার দাড়িপাড়ার তিন রাস্তার মোড়ে আকবর আলীর খেজুর গাছের রস খাওয়া নিয়ে আসামি মান্নান ও মিন্টুর সাথে হাসেম আলীর ছেলে আছর আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাতে আসামি নুরু মুহুরীর নেতৃত্বে আছর আলীর বাড়িতে হামলা করে আসামিরা। হামলাকারীরা আছর আলীকে বাড়িতে পেয়ে তাকে মারপিট করে জখম করে। এ সময় আছর আলীর পিতা হাসেম আলী তাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামিরা প্রথমের তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং মারপিট করে জখম করে। পরদিন সকালে হাসেম আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার উদ্দ্যেশে বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিদের বাধায় হাসাপাতালে নিত্যে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। এ দিন বিকেলে বিনা চিকিৎসায় হাসেম আলী বাড়িতেই মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। হাসেম আলীর ময়না তদন্ত রিপোটে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ওই বছরের ২৯ এপ্রিল ১৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী লিমা বেগম। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকালে আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত খার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে মান্নান, আতিয়ার রহমান ওরফে আতি খোকা, ইসরাজুল, ইউনুচ আলী, রফিকুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন, এনামুল হক ও আব্দুল গফ্ফারের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসামি জামিনে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। #