যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম ও বর্তমান সভাপতি আয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রবিউল নীলগঞ্জ সুপারী বাগান এলাকার মৃত সলেমানের ছেলে ও আয়ুব হোসেন ইছালী গ্রামের মৃত শমসের মোল্লার ছেলে। মামলাটি করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ইছালী গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান। বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামি পহেলা আগস্ট মামলার পরবর্তি দিন ধার্য করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তিনি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সভাপতি থেকে জানতে পারেন ১৯৮৮ সালে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে রবিউল ইসলাম প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কাগজে কলমে তিনি ২০০১ সালে সহকারী শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। এরপর রবিউল সহকারী শিক্ষক হয়ে ফের অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে। একই ভাবে তিনি প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনি স্কুলে প্রবেশের পর থেকেই নানা ধরণের অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরে। শুরু করে প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের ভেতরে কোচিং বানিজ্য। এছাড়া বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছথেকও টাকা হাতানো শুরু করেন। এছাড়া স্কুলে চাকরি করা অবস্থায় তিনি জেনিথ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যশোরের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করে। সহকারী গ্রন্থাগার পদে কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হজম করেন। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের কাছথেকে উৎকোচ গ্রহন করে কৃতকার্য করে দেয়া ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। নারী ঘটিত বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠে। পরে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে ফুসরে উঠে। এক পর্যায় প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এসব বিষয়ে আদালতে মামলাও হয়। কিন্তু পরে আদালতের একটি জাল রায় তৈরি করে ফের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান সভাপতি আয়ুব প্রধান শিক্ষকের যোগদানে সহযোগিতা করেছেন। শুধুই তাই নয়, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও আয়ুব সহযোগিতা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।