যশোরে মাদকে সয়লাব ! মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্তব্য নিয়ে নানা প্রশ্ন

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের সয়লাব । প্রতিদিন খোদ শহরের বিভিন্ন স্পটে ও গ্রামাঞ্চলে মাদক বেচাকেনা হলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ক ও খ সার্কেলের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা নামে মাত্র মাদক উদ্ধার দেখিয়ে দায়সারভাব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার ৫ মার্চ সকালে সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক গাঁজা বিক্রেতাকে মাত্র ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে দায়িত্ব পালন দেখিয়েছেন। অথচ যশোর কোতয়ালি থানা এলাকার শহর ও গ্রামাঞ্জলের আনাচে কানাচে অবাধে মাদক বেচাকেনা হলেও এই বিভাগের কর্মকর্তা ও সদস্যরা অজ্ঞাত কারনে মাদকের বড়বড় চালান উদ্ধারে কোন সফলা দেখাতে পারছেনা। তাছাড়া, ক সার্কেলের কতিপয় কর্মকর্তার সবুজ সংকেত পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কারবার অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে  ক সার্কেলের একটি টিম রোববার ৫ মার্চ সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক গাঁজা বিক্রেতাকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তার দখল হতে ২শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে দুপুরে কোতয়ালি থানায় মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে চালান দিয়েছে জাহাঙ্গীর হোসেনকে। সূত্রগুলো বলেছেন, এই দপ্তরের ক সার্কেলে কর্মরত উপ-পরিদর্শক এস.এম শাহীন পারভেজ ও তার মদদ পুষ্ট একজন সিপাহীসহ দু’জন যশোর শহর ও গ্রামাঞ্চলে গড়ে বিভিন্ন মাদক বিক্রেতাদের সাথে রয়েছে মাসিক চুক্তি। যারা তাদের সাথে চুক্তি রাখেনি তাদেরকে বিভিন্ন পরিমানের মাদকসহ উদ্ধার দেখিয়ে গ্রেফতার পূর্বক মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করছে। সূত্রগুলো দাবি করেছেন, যশোর শহরের রেলষ্টেশনের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে ছোট  এর বউ শেলী অবাধে মাদক বেচাকেনা করছে।      ওই অঞ্চলের মানুষেরা শেলীর মাদক বেচাকেনা করতে দেখে অবাধ হয়ে পড়ে। তারা দেখেন মাদকদ্রব্য বিভাগের কতিপয় সদস্যরা শেলীর বাড়িতে আনা গোনা থাকায় শেলী এখন গোপনে নয় বরং ওপেন মাদক বেচাকেনা করছে। ছোট’র স্ত্রী শেলীর ন্যায় যশোর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যারা ইয়াবা,ফেনসিডিল ও গাঁজা বেচাকেনা করে তাদের মধ্যে যাদের এই বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার সাথে সবুজ সংকেত রয়েছে তারা সব সময় থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। আর যাদের সাথে চুক্তি নেই তারা টম এন্ড জেরীর ন্যায় ধরা পড়ে  কারাগারে যেয়ে আবার জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদকের কারবার চালিয়ে যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় ক সার্কেল ও খ সার্কেলের এলাকায় কমপক্ষে প্রায় ৫শতাধিক মাদক কারবারি রয়েছে। যাদের তালিকা মাদকদ্রব্য বিভাগ ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় রয়েছে। মাদক বেচাকেনার তালিকায় নাম থাকলেও তারা সবুজ সংকেত এর কারনে অভিযান থেকে  শুরু করে সব সময় থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। সূত্রগুলোর দাবি প্রকাশ্যে সব সময় মাদক বেচাকেনার করেও কারবারিরা ধরা না পড়ায় যশোরের বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়,খোদ যশোর শহরের বড় বাজার এলাকায় দেশীয় তৈরী মদ কতিপয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন অবৈধভাবে বেচাকেনা করলেও তাদেরকে অজ্ঞাত কারনে গ্রেফতার করা হয়না। তাছাড়া,শহরের বড় বাজার বাবু বাজার ও তার পাশ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তিরা অবৈধভাবে মাদক সেবনকারীদের কাছে বিক্রি করলেও কার্যরত কোন অভিযান চলেনা এখানে।  এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হুমায়ূন কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তার এই বিষয় জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।