ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আগাম নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী সরাতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে ১০ম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০০ ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করবে। তারা শুধুমাত্র ইনকোয়ারি না, তারা চাইলে বিচারও করতে পারবেন। আর এর পাশাপাশি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা থাকবেন তারা তাদের কাজ করতে পারবেন। আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নিশ্চিতকরণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তফসিল ঘোষণার পরের দিন থেকেই প্রত্যেক উপজেলা বা থানায় দু’জন করে থাকবেন। এই সংখ্যাটা শেষ পাঁচ দিনে অর্থাৎ নির্বাচনের আগের তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন বেড়ে যাবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে যে প্রচার চালাচ্ছে এবং ঝুলিয়েছে, এগুলো সরাতে হবে। না সরালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে নির্বাচনী আচরণ বিধির আওতায়।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়নের ব্যাপারে একটি পরিপত্র এই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হবে। এটার আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের অনুদান, ত্রাণ ইত্যাদি বিতরণ সম্পর্কে যে নিষেধাজ্ঞা, সে সংক্রান্ত পরিপত্র যথাসময় জারি করা হবে। তবে এতে যে সোশ্যাল সেফটি নেটওয়ার্ক যেটা আছে, যেখানে অনেকে বয়স্ক ভাতা পান, এগুলোর উপরে কোনো ধরনের বাধা নিষেধ থাকবে না।