সেই গোলাম রসুল আবারো যশোর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড দখলে ব্যস্ত 

Share

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর জেনারেল হাসপাতলে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সেই নারী কর্মচারী চামেলী আক্তার পাখি (২৬) কে মারপিট করা সেই, সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের আহসানুর রহমানের ছেলে কথিত মেঘনা থেরাপি সেন্টারের মালিক গোলাম রসুল (৪০), আবারো হাসপাতালের ওয়ার্ড দখলে ব্যস্ত এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও কোতয়ালি থানা সুত্রে জানা যায়,গত ২৪ জুলাই হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ফিজিও থেরাপি সেন্টারের সেই নারী কর্মচারী চামেলী আক্তার পাখি (২৬)কে মারপিট করে কথিত মেঘনা থেরাপি সেন্টারের মালিক দাবিদার গোলাম রসুল।
এঘটনায় কোতয়ালী থানায় মারপিট ও সিলতাহানির অভিযোগে গত ২৬ জুলাই চামেলি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করে। পরে অভিযোগ টি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। পরে সে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। কিছুদিন জেলে থাকার পরে জেল থেকে বাহির হয়ে গোলাম রসূল কিছুদিন নীরব ছিলো। বেশ কয়েক দিন ধরে গোলাম রসুল সহ তার দুই নারী কর্মী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসক,সেবিকা, ও কর্মচারীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যদিও হাসপাতালে ভিতরে বহিরাগত ফিজিওথেরাপি করার কোন নিয়ম নেই বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নেই। তারপরেও এই গোলাম রসুল কোন ক্ষমতার বলে সে হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি ওয়ার্ড দখল নিয়ে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হাসপাতালে ওষুধের দালালি ক্লিনিকে দালালি সহ নানা অভিযোগ করেছেন রুগি ও রোগীর স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে গোলাম রসুলের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফোয়ারা জানান রসুল নামে একটা ছেলে আমার কাছে এসেছিল সে হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি করবে এমন দাবি করেছে। এ সময় সে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করেছে। বিষয়টা নিয়ে আমি তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, তিনি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি করার জন্য কেউ প্রবেশ করবে না এমনটাই পুলিশকে বলে দিয়েছে অবৈধভাবে কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন।

Read more