যশোর প্রতিনিধি
যশোরে ভায়রাকে খুন-জখমের হুমকি দিয়েছে দুই যুবক। এঘটনায় ভুক্তভোগী ইব্রাহীম হোসেন (৩৪) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।যার জিডি নং৩৮ তাং১/৯/২৫।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডিতে ইব্রাহিম হোসেন উল্লেখ করেছেন তার শালিকা হালিমা খাতুন পান্নার (২৩)সঙ্গে আল মামুন গাজীর (৩২) বিবাহ হয়। তাদের সংসারে চার বছরের এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন পান্না।এঘটনায় তিনি স্বামী আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর মামলা নং-১৮৪১/২৫) দায়ের করেন।
জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে,মামলার খবর জানার পর আল মামুন ও তার সহযোগী বন্ধু বাবু (৩৪) বিভিন্ন সময়ে ফোনে ও প্রকাশ্যে বাদী ও তার শালিকাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। সম্প্রতি গত ২৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের চৌরাস্তা বস্তাপট্টি মোড়ে অবস্থিত একেন্ট হোমিও ফার্মেসি দোকানের কর্মচারী বাবু প্রকাশ্যে ইব্রাহীম হোসেনকে বলেন, মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে ও তার শালিকাকে খুন-জখম করা হবে।
ইব্রাহীম হোসেন আশঙ্কা করছেন,যেকোনো সময় তারা তার ও শালিকার ওপর হামলা চালিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে মামুন ও তার বন্ধু বাবু পথে-ঘাটে দেখা হলে নানাভাবে কটুক্তি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এর আগেও এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করা হলে বিষয়টি যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ি র এএসআই জসিম উদ্দিন তদন্ত করেন এবং অভিযুক্তদের সতর্ক করে দেন। কিন্তু কিছুদিন যাবার পরও তারা আবার ওই মামলা তুলে নেওয়া সহ নানান ভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। তাই কোন উপায় না পেয়ে ইব্রাহিম হোসেন পহেলা সেপ্টেম্বর যশোর কোতোয়ালি থানায় পুনরায় একটি সাধারণ জিডি করেছেন।
জিডির এঘটনাটি যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে এসএম মিজানুর রহমান বলেন এখনো অভিযোগ হাতে পায়নি অভিযোগ হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।