যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেনারেল হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডে ট্রলির উপর তুলি বেগম (১৯)জন্ম দিলেন একটি পুত্র সন্তান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে, তুলি বেগমর আশপাশে আপনজন কেউ নেই তার। হাসপাতালে নার্স রেশমা খাতুন দিশেহারা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নেই। খবর পাঠালেন পুলিশ বক্সে। সেখানে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা একজন সাংবাদিকের সহযোগিতা চাইলেন। তাৎক্ষণিক ওই সংবাদ কর্মী -পুলিশ সদস্য সোহেল রানা বিষয়টি হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) হুসাইন সাফায়েত কে বিষয়টি জানান। সাথে সাথে ওই সংবাদকর্মী ছুটে যান যশোর জেনারেল হাসপাতালে রুগী কল্যাণ সমিতির সমাজ সেবা কর্মকর্তা শান্তা শ্যামলী মনিশা’র কাছে। সমাজসেবা কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক সমস্ত ওষুধের ব্যবস্থা করে দেন। এ খবর শোনা মাত্র হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হুসাইন সাফায়াত নিজে ছুটে আসেন রোগী তুলি খাতুনের কাছে।
হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডেে কর্মরত ডাক্তার এবং নার্সদের আদেশ দেন সেবা এবং চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
জ্ঞান ফিরলে রোগী তুলি বেগম বলেন, তার স্বামীর নাম রাকিব। পেশায় গাড়ির হেলপার এখন ঢাকায়। বাপের বাড়ি অভয়নগর বর্তমানে বসবাস করে যশোর শহরের শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশে। বাদবাকি তার আর কোন কিছু মনে নেই।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন সাফায়েত বলেন, তুলি খাতুন নবজাত ছেলে শিশু( মা- ছেলে) দুজনই ভালো আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, এই রোগীর সেবা এবং চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব যশোর জেনারেল হাসপাতাল নিয়েছে। হাসপাতাল থেকে সকল ওষুধ তাদের দেয়া হবে।
এবং রুগী কল্যাণ সমিতি প্রাথমিকভাবে ওষুধ দিয়ে অনেক উপকার হয়েছে। যে ওষুধগুলো আমাদের হাসপাতালে ছিল না।
সমাজসেবা কর্মকর্তা শান্তা শ্যামলী মনিশা তার অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, আমাদের কাজই তো সমাজসেবা। ভালো কাজ করতে পারলে কারই না ভালো লাগে।
তবে এই রোগীটার জন্য ওষুধ দিয়ে পাশে থাকতে পেরে খুব আনন্দ পাচ্ছি।