যশোর প্রতিনিধি :
ফিজিওথেরাপির ওয়ার্ড দখল নিয়ে চামেলী আক্তার পাখি (২৫) নামে কথিত শাহজালাল ফিজিওথেরাপির এক নারী কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেছে, কথিত মেঘলা ফিজিওথেরাপি মালিক দাবিদার গোলাম রসুল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে এঘটনা ঘটে। আহত পাখি সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের নওশের আলী গাজীর মেয়ে।
কথিত শাহজালাল ফিজিওথেরাপি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেইনগেটের বিপরীতে অবস্থিত ও কথিত মেঘলা ফিলোথেরাপি ঘোপ জেল রোড কুইন্স হাসপাতালের পূর্ব পাশে অবস্থিত।
আহত পখি জানান , বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার একটু আগে সে তার মায়ের কথায় পরিচিত একটা রোগী দেখতে যায়। কথিত মেঘলা ফিজিওথেরাপির মালিক দাবিদার গোলাম রসুল ওয়ার্ড দখল নিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারপিট করে। গুরুতর আহত হলে পাখির সাথে থাকা কথিত শাহজালাল ফিজিওথেরাপির অন্য নারী কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় পাখির মা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
কথিত মেঘলা ফিজিওথেরাপির মালিক দাবিদার গোলাম রসুল বলেন, আমি ওই ওয়ার্ডে কাজের জন্য গেলে পাখি আমার সাথে খারাপ আচরণ করে যার কারণে তাকে মারতে বাধ্য হয়েছি আমি। দুই একদিন আগে ওই ওয়ার্ডের ব্যাপারে আমি হাসপাতালের কর্মচারী আর এম ও সাহেবের পিয়ন মুসা মামার সাথে কথা বলেছি, তারপর আমি ওই ওয়ার্ডে গেছি। ওয়ার্ডে যাওয়ার পর ওই মেয়েটা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে যার কারণে আমি তাকে মারপিট করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা সন্ধ্যার সময় বিষয়টা মীমাংসা করে নিবো।
হাসপাতালের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাযায়, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড সেবা ফিজিওথেরাপি নামে এক প্রতিষ্ঠানের দখলে। ওই দুই ওয়ার্ডে কথিত সেবা ফিজিওথেরাপি নারী কর্মীরা বাদে অন্য কেউ কাজ করতে পারবে না। পুরুষ পেইনওয়ার্ড কথিত সোনালী ফিজিওথেরাপি সেন্টারের দখলে। ওই ওয়ার্ডে সোনালী ফিজিওথেরাপির নারী কর্মী ছাড়া কেউ কাজ করতে পারবে না। মহিলা পেন ওয়ার্ড নাজনীন নামে এক নারী কর্মীর দখলে। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড শাহজালাল ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও মেঘলা ফিজিওথেরাপি সেন্টারের দখলে।
সূত্রটি আরো জানাই, হাসপাতালেরপুরো ফিজিওথেরাপীর দখলবাজির বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করে হাসপাতালের কর্মচারী মুছা! কেন কি কারনে তিনি এটা নিয়ন্ত্রণ করেন এটা কারোর জানা নেই?
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন অভিযোগ আমি এখনো দেখি নাই অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হোসাইন সাফায়েত বলেন এরা কিভাবে হাসপাতালে এসে কাজ করছে, আমি এর আগেও তাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছি তারা শুনে নাই, আমি পুলিশকেও বলেছি এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে। কাউকে এভাবে আর হাসপাতালে এসে ফিজিওথেরাপি করতে দেওয়া হবে না।