৩৪ বলে ৪ উইকেট শেষ, ইনিংস ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ

Share

ইনিংস ব্যবধানে হারটা নিদেনপক্ষে এড়ানোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। তবে সেটাও শেষমেশ হলো না। চতুর্থ দিন সকালে আধঘণ্টার একটু বেশি সময় টিকল সফরকারীদের ইনিংস। ৩৪ বলে শেষ ৪ উইকেট খুইয়ে বসল বাংলাদেশ। আর তাতেই ইনিংস ও ৭৮ রানে হেরে শ্রীলংকার কাছে সিরিজ হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

৯৬ রান, চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশের ‘আপাতত’ লক্ষ্যটা তাই ছিল। এই রানটা তুলতে পারলেই ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জাটা এড়ানো যেত। সেটা করতে হলে বড় ভূমিকা পালন করতে হতো লিটন দাসকে। তার সঙ্গী ছিলেন তাইজুল ইসলাম, যিনি প্রথম ইনিংসে খেলেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। ফলে কাজটা অসম্ভব ছিল না আদৌ।

শেষ স্বীকৃত ব্যাটার লিটন দিনের দ্বিতীয় ওভারে আর পঞ্চম বলে আউট হয়ে গেলে কাজটা অসম্ভব হয়ে যায়। তবে যে বলে আউট হয়েছেন লিটন, তাতে তার করার ছিল সামান্যই। ফুলার লেন্থের বলটা সামনে ঝুঁকে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে বলটা সেখানে পড়ে দারুণ বাঁক নিয়ে বেরিয়ে গেল অফ স্টাম্প ঘেঁষে।

আর সেটাই সর্বনাশটা করে দিল বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বলটা চলে গেল উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস বলটা গ্লাভসবন্দি করতে ভুল করেননি একটুও। এর ফলে লিটনের ইনিংস শেষ হয় ১৪ রানেই। বাংলাদেশের ৭ ব্যাটারই আউট হলেন দুই অঙ্ক ছুঁয়ে।

বাংলাদেশকে এরপর ইনিংস হার এড়াতে হলো মিরাকলেরও মিরাকল ঘটাতে হতো। সেটা আর হয়নি। নাঈম হাসান স্টাম্পড হলেন লিটন বিদায় নেওয়ার ১২ বল পরেই। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার পরের ওভারে তাইজুল ফিরতি ক্যাচ দিলেন তাকে। তাতে পাঁচ উইকেট পূরণ হয় লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনারের। আর বাংলাদেশের ইনিংস হারটা হয়ে যায় সময়ের অপেক্ষা।

সে অপেক্ষাটা খুব বেশি বড় হয়নি। পরের ওভারে আক্রমণে আসা থারিন্দু রত্নায়েকের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন এবাদত হোসেন। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ইনিংস টেকে মোটে ৩৪ বল। ম্যাচটা হারতে হয় ইনিংস ও ৭৮ রানে। ১-০ ব্যবধানে হারতে হয় সিরিজটাও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ২৪৭/১০
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস ৪৫৮
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ১৩৩/১০ (মুশফিকুর রহিম ২৬, এনামুল হক বিজয় ১৯; প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৫/৫৬)
ফল– শ্রীলংকা ইনিংস ও ৭৮ রানে জয়ী।
সিরিজ– শ্রীলংকা ১-০ ব্যবধানে জয়ী।

Read more