যশোর শহরের দড়াটানা এলাকার একতা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভৈরব নদীতে সরাসরি বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ফেলাসহ পরিবেশ দূষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(গ)/৬(৩)/৭/৯/১২ ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার সৌমেন মৈত্র। তিনি শুক্রবার সকালে যশোর কোতোয়ালি থানায় এজাহার দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্ত দুইজন হলেন যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার ফারজানা ওহাব এবং গুরুদাস বাবু লেনের জিনাত আরা।
এজাহারে বলা হয়েছে,একতা হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে তাদের ক্লিনিক থেকে উৎপন্ন বর্জ্য পাইপের মাধ্যমে সরাসরি ভৈরব নদীতে ফেলে আসছে,যার ফলে নদী ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে এবং নদী ভরাটের প্রক্রিয়াও দ্রুততর হচ্ছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৯ জুন জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে জেলা নদী রক্ষা কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর অধিদপ্তরের উপপরিচালক সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালের অনিয়ম ও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপের সত্যতা পান। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৬ জুন একতা হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়।
তবে, এর পরও পরিবেশ সংরক্ষণের কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং গত বছর ডিজইনফেকশন প্ল্যান্ট স্থাপনের অজুহাতে তিন মাস সময় নিয়ে কার্যত কিছুই না করায়, শেষমেশ পরিবেশ অধিদপ্তর আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।