চোরতন্ত্রের আমলারা আবার উজ্জীবিত: দেবপ্রিয়

Share

আগের আওয়ামী লীগ সরকারকে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে আমলারা সহায়তা করেছিল, ৫ আগস্টের পর তারা হারিয়ে গিয়েছিল। তারা নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সোমবার (১৯ মে) গুলশানের হোটেল লেকশোরে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬: নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ৫ আগস্টের আগে চোরতন্ত্র কায়েম করা রাজনীতিকরা হারিয়ে গেছে, ব্যবসায়ীরা ম্রিয়মাণ রয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকার যে নীতি-কৌশল গ্রহণ করেছিল, তাতে কিছু ঘষামাজা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের লক্ষ্য ছিল না।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে রাজস্বের ৪৭ শতাংশ চলে যাবে ঋণের সুদ পরিশোধে, আর ২৭ শতাংশ যাবে ভর্তুকি দিতে। এ অবস্থায় সরকারের ব্যয় মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণে টান পড়বে।

অনুষ্ঠানে রামরুর প্রতিষ্ঠাতা ও ক্যালেন চেয়ারপারসন ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় আবার শ্রমবাজার খুলতে যাচ্ছে, কিন্তু পুরোনো ব্যবস্থাতেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে বড় পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।

প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এত বছর ধরে এ কথাটি বলা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

৪০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান করা হলেও সেখানে প্রশিক্ষক দেওয়া হয়নি। তিনজন করে অন্য জায়গা থেকে দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়।
বিআইসিএস-এর মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, এ সরকারের এটিই একমাত্র বাজেট হলেও, আগামী বাজেটে ৫ আগস্টে তৈরি হওয়া মানুষের প্রত্যাশা ও লক্ষ্যের দিকনির্দেশনা দিয়ে যেতে হবে।

Read more