জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় জুলাই ফাউন্ডেশনের নতুন সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবরকে পরিচয় করিয়ে দেন স্নিগ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে স্নিগ্ধ বলেন, আমাদের গভর্নিং বডির সদস্য সংখ্যা ৬ জন। এই বডি থেকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আমাকে এখন গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত আর্থিক অনুদানের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ পেয়েছি। যারা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে অনুদান দেবে তাদের সেই টাকার ওপর ভ্যাট বা ট্যাক্স হবে না। এ ছাড়া কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। শহীদ এবং আহত পরিবার মিলিয়ে ১২টি আইনি সেবা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ জন শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্নিগ্ধ এখন থেকে ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে পদ ছেড়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। উচ্চশিক্ষায় সময় দিতে পদত্যাগ করেছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক এবং জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা হিসেবে অনুমোদন পায়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ ছাড়া শহীদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে দেওয়া হয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়া এই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য।