ঢাকা টাওয়ার ডেস্ক _
এই এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতরের মৌসুম শেষে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ কিছুটা কমেছে, চলতি মাসের প্রথম বারো দিনে প্রবাসীরা (১.০৫) বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ই এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে (৪৫৯.৭২) মিলিয়ন ডলার, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে (৫৯০.৩৪) মিলিয়ন ডলার।
এলডিসি, উত্তরণ থেকে পেছানোর সুযোগ নেই আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিশ্লেষকদের মতে, ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের জন্য বেশি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন, ফলে মার্চের শেষ দিকে ও এপ্রিলের শুরুতে প্রবাসী আয় বেড়ে যায় ‘ তবে ঈদের পর এই প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে আসে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে (৩.২৯) বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গড়ে দৈনিক (১০৯.৮৫) মিলিয়ন ডলার।
এরই আগে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল (২.৬৪) বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা (১.৯৯) বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন।
তুলনা মূলক চলতি বছরের মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহে (৬৪%) প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এর আগের মাস, ফেব্রুয়ারিতেও দেশে (২.৫৩) বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
ব্যাংকারদের মতে, মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রবাসীদের বাড়তি অর্থ পাঠানো, তাদের মতে ‘
অফিশিয়াল ব্যাংকিং চ্যানেলের গুলোর প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক পথে নির্ভরতা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রয়েছে ।