ঢাকা টাওয়ার ডেস্ক
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে ‘ এমনটাই দাবি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির
দীর্ঘ দিন ধরেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে তারা অভিযোগ, সংস্কারের দোহাই দিয়ে আরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভোট আয়োজনের চেষ্টাই করছেন না।
সূত্রের খবর, ইউনূসকে চাপে রাখতে এ বার বিএনপি বাংলাদেশ জুড়ে বড় আন্দোলনের পথে নামার পরিকল্পনা করেছে ‘ দেশের প্রত্যেক শহর এবং জেলায় কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
আন্দোলনে নামার আগে অবশ্য ইউনূসের সঙ্গে শেষ বার আলোচনায় বসতে চান বিএনপি নেতৃত্ব ” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। শরিক দলগুলির সঙ্গেও বৈঠক হবে ‘ তার পর জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে দেব।
চিন সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এতে বিএনপি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। ভোটের সুস্পষ্ট তারিখ না ঘোষণা করলে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি।
খালেদার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইউনূস সরকারের প্রতি প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক অদক্ষতার পরিচয়। কারণ, কেবল নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলা করা সম্ভব
গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন ‘ শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসেন তিনি তার পরই ‘ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশে।
তাঁদের বক্তব্য ছিল, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের পর সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বাংলাদেশে সরকার নির্বাচন করবে জনগণই কিন্তু এখনও বাংলাদেশে কোনও ভোট হয়নি।
বিএনপি-সহ রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, আবশ্যিক সংস্কারগুলি করে নির্বাচন ঘোষণা করে দিক অন্তর্বর্তী সরকার বাকি প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হোক নির্বাচিত সরকারকে।
কিন্তু ইউনূস তাতে আগ্রহী নন বলে অভিযোগ, যা নিয়ে দলগুলির অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে ।