যশোর পৌরসভার শ্রমিক কর্তৃক শিশু মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা

Share

বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর পৌরসভা কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রাসেল হোসেন কর্তৃক শিশু অধরা তৃপ্তি রোদেলা ওরফে আয়াত (৬)কে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলাটি করেন, শিশুটির পিতা যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী মাঠপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাব্বি হোসেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লম্পট রাসেল হোসেনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার মেয়ে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া ফুলতলা জেএস রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে পড়াশুনা করে। রাসেল পৌরসভার বিভিন্ন কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বেড়ায়। গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় বাদির স্ত্রী শিশু মেয়েকে স্কুলে এগিয়ে দিয়ে আসে। পরবর্তীতে দুপুর ১২ টার সময় উক্ত আসামী স্কুলের মশা নিধনের জন্য স্প্রে করার জন্য যায়। তখন স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে যেতে বললে বাদির মেয়েও অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বের হয়ে যায়। উক্ত রাসেল সুকৌশলে বাদির মেয়েকে ক্লাস রুমে মধ্যে ডেকে নিয়ে যায়। শিশু মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং মেয়েকে জড়িয়ে ধরে শরীরের  বিভিন্ন স্থানে হাত বুলাতে থাকে। এক পর্যায় রাসেল তার যৌনকামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং মুখে চুম্বন করে। এক পর্যায় বাদির মেয়ে চিৎকার দিলে উপরোক্ত আসামী বাদির মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে বের হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে বাদি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক বাদি ও তার স্ত্রীসহ স্থানীয় লোকজন উক্ত স্কুলে যেয়ে ঘটনার বিষয় বাদির মেয়র কাছে জেনে ও শুনে বাদি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যশোর পৌরসভায় গেলে বাদির মেয়ে লম্পট রাসেল হোসেনকে চিনতে পারেন। তখন স্থানীয় জনসাধারন মারপিট করে আহত করে। তৎক্ষনিক কোতয়ালি থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে বাদি ও তার মেয়ের নিকট জেনেও শুনে আসামীকে হেফাজতে গ্রহন করেন। থানা পুলিশ আসামীকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

Read more