প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধষর্ণের পর হত্যা ১৬ দিন পর লাশ উদ্ধার আটক ২

Share

ঢাকা অফিস: ঢাকার দক্ষিণখান থেকে কিশোরীকে মহাখালীতে এনে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ফেসবুকে প্রেমের বলী হলো এক স্কুল ছাত্রীর। ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে। রাতের আঁধারে পরে লাশ ফেলে দেওয়া হয় রাজধানীর হাতিরঝিলে। ১৬ দিন পর রোববার ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণখান থানা পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এ বিষয়ে মুখ খোলে। আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা এলোমহর্ষক স্বীকারোক্তিও দিয়েছে।

দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা জানান, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরী ১৬ জানুয়ারি মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাসার বাইরে যায়। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। পরে ১৯ জানুয়ারি ওই কিশোরীর বাবা দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন তিনি। এরপর কিশোরীটির মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় গাজীপুর থেকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে তারা। পরে রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে রবিন ও রাব্বি মৃধা। রবিন জানিয়েছে কিশোরীটিকে ‘ফাঁদে ফেলে’ সেদিন দুপুরে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যায়। এরপর তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে কিশোরীটিকে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করে তারা। লাশ বস্তাবন্দি করে মধ্যরাতে মহাখালী থেকে রিকশায় হাতিরঝিলে পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে নিচে ফেলে দেয়। ওসি বলেন, গ্রেফতার রাব্বি ও রবিনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে রোববার হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ময়নাত দন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Read more