আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডেনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, সুইডেনে কোরআন পোড়ানো ইরাকি যুবক সালওয়ান মোমিকা গুলিতে নিহত হয়েছে। তিনি যে শহরে থাকতেন সেই শহরেই গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় স্টকহোমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ৩৮ বছর বয়সী ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকাকে হত্যা করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এমন টায় বলছে।
সুইডিশ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। একজন প্রসিকিউটর তাদের আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আটককৃতদের মধ্যে হামলাকারী আছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ বিভাগ।
কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আদালতের রায়ের কয়েক ঘণ্টা আগে তাকে হত্যা করা হলো। স্টোকহোম ডিস্ট্রিক কোর্ট ওই মামলার রায়ের শুনানি হওয়ার কথা ছিল আজ। তবে, এ ঘটনার পর রায়ের শুনানি স্থগিত করা হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় মোমিকা টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। রয়টার্সের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ একটি ফোন তুলে নিয়ে লাইভস্ট্রিম শেষ করছে।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনা তদন্ত করছে সুইডিশ পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনা তদন্ত করছে সুইডিশ পুলিশ। ছবি:রয়টার্স
২০২৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দুই দফায় কোরআন পোড়ান মোমিকা। প্রথম দফাটি হয় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে। দ্বিতীয়টি ইরাকি দূতাবাসের বাইরে। পরে ওই ঘটনা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা যায় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ইরাক থেকে সুইডেনে আসেন মোমিকা। এরপর ২০২১ সালে তিন বছরের জন্য সুইডেনে বসবাসের অনুমতি পান। ২০২৩ সালে মাইগ্রেশন এজেন্সি রেসিডেন্সি আবেদনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য মোমিকাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল সুইডেন। কিন্তু ইরাকে ‘নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ঝুঁকি’ থাকায় এটি করতে পারেনি।