পটুয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Share

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে,পটুয়াখালী জেলায় অটোরিকশার এক চালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৪/৫ জন এই হত্যা ঘটিয়েছে। জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অটোরিকশা চালকের নাম মো. সুজন হাওলাদার (৩০)। তিনি উপজেলার দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় যুবলীগ সুজনকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার জানায়, সুজন বাড়ি থেকে অটো নিয়ে কনকদিয়া বাজারে যাচ্ছিলো। ওই এলাকায় পৌঁছালে ৪/৫ জনের একদল সশস্ত্র যুবক অটোরিকশার গতিরোধ করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

চিকিৎসক মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে।

বাবার অভিযোগ, কারও সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। তার দাবি, এই অপরাধে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ছেলেকে হত্যা করেছে।

তবে এই হত্যার কারণ রাজনৈতিক নাকি অন্য কিছু তা তাৎক্ষণিক যাচাই করা যায় নাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে নিহত সুজনকে কনকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী দাবি করেছে। একই সঙ্গে তাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ।

জলমহাল ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত সাতজলমহাল ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত সাত
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Read more