ঢাকা অফিস: পুলিশকে গত ৫ আগস্ট ৬ তরুণের মরদেহ ভ্যানে তুলতে দেখার অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশের গাড়িতে তুলে মরদেহগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নিহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় মিলেছে। মরদেহ ভ্যানে তোলেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবির পরিদর্শক আরাফাতসহ কয়েকজন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিও যাচাই করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যায় জড়িতদের কঠিন শাস্তি চায় স্বজনরা।
ভ্যানে তোলা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। যা একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। এ সময় সেখানে দেখা যায় ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরাফাতসহ আরও কয়েকজন পুলিশকে। চাঞ্চল্যকর এ ভিডিওটি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গা শিউরে ওঠা হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি গত ৫ আগস্টের.. আশুলিয়া থানা সংলগ্ন এলাকার। ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেন ভূঁইয়ার একটি পোষ্টারের সূত্র ধরে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।
স্থানীয়রা বলছেন, ভ্যানে ৬ জনের মরদেহ ছিলো। এদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন, তানজিল হোসেন, বায়েজিদ ও সবরু হুমায়ূন নামে ৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনরা। অজ্ঞাত ২ জনের মরদেহ রাখা হয় মর্গে। অভিযোগ আছে ভ্যানের মরদেহ গুলো পুলিশের গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে আড়ালে চলে যায় ভিডিওতে থাকা পুলিশ সদস্যরা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্থানীয়দের।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অনেকগুলো মরদেহ স্তূপ করে রাখা হয়েছে একটি ভ্যানে। পাশাপাশি আরেকটি মরদেহ ভ্যানে তুলে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। পরে একটি পোস্টার দিয়ে লাশগুলো ঢেকে ফেলা হয়। এ সময় ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাতসহ আরও কয়েকজন পুলিশকে আশপাশে হাঁটাহাঁটি করতেও দেখা যায়।
ভিডিওটি কবেকার এমন প্রশ্নে রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট এ ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। যা এক সময় রূপ নেয় গণ অভ্যুত্থানে। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরিয়ে বিদায় নেয় শেখ হাসিনা সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেদিনই দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।