চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গুলিতে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ ৪১ জনের নামোল্লেখ করে ১৯১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিহত ছাত্র কাজী মিরাজুল ইসলামের বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাটহাজারী থানার ওসিকে মামলা হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
মামলায় শফীপুত্র আনাস মাদানী ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক, হাটহাজারী সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক রাজীব শর্মা, কেশব চক্রবর্তী, তৌহিদুল করিম (বর্তমানে চকবাজার থানার পরিদর্শক) ও আমির হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান, কবির হোসেন ও জসীমউদ্দীন, পিবিআইয়ের এসআই শাহাদাত হোসেন।
এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মইনুদ্দিন রুহি, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম ও ইউনুস গণি চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মনজুরুল আলম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির হায়দার। পাশাপাশি মামলাটিতে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগমনের প্রতিবাদে সেদিন দুপুরে হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করেছিলেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সেখানে গুলিতে মাদ্রাসার চার শিক্ষার্থী নিহত হন।