কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় গোমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে নিজের বাড়ি প্লাবিত হওয়ার পর মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন ফরিদ মিয়া (৬০)। কিন্তু সেখানে গিয়েও পানিবন্দী হয়ে পড়েন তিনি। একদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ততক্ষণে রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় তাকে আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। মেয়ের বাড়িতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফরিদ মিয়।
আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী দল।
মারা যাওয়া ফরিদ মিয়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর অঞ্চলের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর ভাঙনের ফলে বন্যাকবলিত হতে থাকে পার্শ্ববর্তী রামনগর গ্রাম। এ অবস্থায় সেখান থেকে মেয়ের বাড়ি গোপীনাথপুরে গিয়ে আশ্রয় নেন ফরিদ মিয়া। পরদিন গোপিনাথপুর গ্রামও পানিবন্দী হয়ে যায়। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়ের বাড়িতেই মারা যান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর অঞ্চলের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের টিমে ২০ জন সদস্য ও পাঁচটি স্পিডবোট নিয়ে আমরা ভাঙন কবলিত এলাকায় অবস্থান নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে থাকি। রোববার দুপুরে ফরিদ মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে গোপীনাথপুর এলাকায় গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। আমরা অন্যান্য এলাকাতেও খোঁজখবর রাখছি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।’