চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ছবি সংগৃহীত: চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরে ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর এঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক জানিয়েছেন, মামলায় অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিভিন্ন ধারায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতিকারীরা থানায় হামলা করে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বিভিন্ন মামলার আলামত নষ্ট করেছে। এসময় থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর চট্টগ্রামে একটি মিছিল থেকে হামলা হয় নগরীর অন্যতম ব্যস্ত কোতোয়ালী থানায়।
সেদিন ভাঙচুর ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটপাট শেষে থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সরকার পতনের পরপরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার থানা আক্রান্ত হয়। চলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় লুটপাট হয়েছে। বেশ কয়েকটি থানা পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।
এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এসব হামলায় নথিপত্র, আসবাবপত্রের পাশাপাশি পুড়ে গেছে থানায় থাকা সব গাড়ি। লুট হয়ে গেছে অনেক অস্ত্র ও গুলি। এরপর থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় দেশের পুলিশি ব্যবস্থা।
নিরাপত্তাহীনতা ও সহকর্মীদের হতাহত হওয়ার ক্ষোভ থেকে ৫ অগাস্টের পর কাজে থেকে বিরত ছিলেন পুলিশের নন ক্যাডার সদস্যরা। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও গেছেন। ফলে ঢাকার রাস্তাঘাট এবং থানাগুলো কার্যত পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে।
পরে গত ১৫ অগাস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সকল থানায় ‘অপারেশনাল কার্যক্রম’ শুরু হয়েছে। তবে বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। হামলা ও লুটপাটের শিকার বেশিরভাগ থানায় সেবা দেওয়ার মতো জরুরি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অবশিষ্ট নেই। সব কিছুই নতুন করতে হচ্ছে।