কিশোরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শহরের চেয়ারম্যানঘাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে শাহীন সরকার (১৫) নামে এক কিশোরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জিহাদুল ইসলাম ফাহিম (১২) নামে আরেক কিশোরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত শাহীন সরকার ব্যাংক কলোনির ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মো. স্বপন সরকারের ছেলে। সে ঠিকাদার রিয়াদের অধীনে ভবন নির্মাণের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

পুলিশ জানায়, ২১ আগস্ট শহরের ব্যাংক কলোনি খেলার মাঠে ফুটবল খেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে জড়ায় দুই পক্ষের কিশোররা। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে বেশ কয়েকজন কিশোর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে শাহিনের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ওই এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য শান্ত, শামিমসহ বেশ কয়েকজনকে ইট নিক্ষেপ করে শাহীন। ওই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে কাজ শেষে ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের ৬-৭ জন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এতে নেতৃত্ব দেন ব্যাংক কলোনির অজয়ের ছেলে শান্ত।

নিহত শাহীনের মা সাজুদা বেগম বলেন, আমার ছেলে কাজ শেষে মার্কেট থেকে একটি গেঞ্জি কেনে। এরপর বাসার দিকে আসার সময় ৬-৭ জন মিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তবে তাদেরকে চিনতে পারিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছেলেকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনসুর আহমেদ বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।