গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট যে বাংলাদেশ সেই দেশে এই হামলাকারীরা স্বৈরাচারের দোসর সমন্বয়ক হাসিবুল হোসেন শান্ত

ঢাকা অফিস: বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের কাউকেই শিক্ষার্থী বলে মনে হয়নি। তাহলে এভাবে হামলা ভাঙচুর করল এরা কারা?

গত সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে হঠাৎ এক দল দুর্বৃত্ত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় হামলাকারীরা অফিসের টেবিল, কম্পিউটার, এসি ভাঙচুরের পাশাপাশি মিডিয়া প্রাঙ্গণে রাখা ২০-২৫টি গাড়িও ভাঙচুর করে। হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।

এদিকে প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া গেছে হামলার চিত্র। সেই ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এদের কাউকে শিক্ষার্থী বলে মনে হয়নি।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর যে হামলা হচ্ছে তার সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নন। দুষ্কৃতকারীরা এই হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যমের ওপর হামলা রুখে দিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমন্বয়ক তরী বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। এখানে যারা হামলা করেছে তারা কেউই শিক্ষার্থী নয়। হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সমন্বয়ক হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, দুর্বৃত্তরাই এখানে হামলা ও তাণ্ডবের চেষ্টা করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে এই হামলাকারীরা স্বৈরাচারের দোসর। আমরা এই বিষয়ে আমাদের সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।