গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: রবিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে,২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহর ছাত্র শিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ ৭ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান ও তৎকালীন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত আমিনুর রহমানের ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এস. এম ইউসুফ সুলতান, ডিবির আলি হোসেন, মো. বাবর আলী, এসআই আবুল কাশেম, এসআই হুমায়ূন কবীর, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস, এসআই ইয়াছিন আলী, এসআই লিটন বিশ্বাস, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, শেখ আলম, আব্দুল হান্নান, এসআই হান্নান শরীফ, এসআই আবুজার গিফারী, হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান ও বদরুল আলম।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বাবলা জানান, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামাল নগরের একটি মেসে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার নামে ছাত্র শিবিরের তৎকালীন শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় মেসে থাকা আরও ৭ পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন আমাদের মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।