মুমূর্ষু অবস্থায় ৩০ জনকে ঢামেকের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন

ঢাকা অফিস: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ও বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১২৮ জনকে উদ্ধার করে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ১১ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়। আহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ।

নিহতরা হলেন- পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান, আনোয়ার হোসেন বয়স (৫৭), আব্দুল আলিম (৪৬), রাসেল মাহমুদ (২১), উত্তর পূর্ব থানার এসআই রাসেল (৪৪) ও মনির (৪৫); র‍্যাব সদস্য হাসমত আলী ও আনোয়ার; ৩৯-বিজিবির নায়েক মো. আব্দুল আলিম (৪৫) ও ডিবি ইন্সপেক্টর রাসেল; আশরাফুল হাওলাদার (২০), হাফেজ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান (২৬), রাব্বি (২১), আসিব (১৬), মনির (৪৫), বাপ্পি আহমেদ (৩৫), নুর আলম (২১), শাওন (২২)। এ ছাড়া বাকিদের পরচিয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি এবং এদের অনেকেই পুলশি সদস্য ও যুবক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানীসহ রাজধানীর আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১২৮ জনসহ আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় । এর মধ্যে ১১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ৩০ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। আহত অবস্থায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখনও অনেককে আনা হচ্ছে বলে।