যশোর জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার সাইফুলের ওষুধ চুরির ঘটনায় আজও তদন্ত হয়নি 

যশোর প্রতিনিধি: যশোর জেনারেল হাসপাতালের সাবেক স্টোরকিপার সাইফুল ইসলাম কোটি কোটি টাকার ঔষধ চূরি ও পাচার করে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা এখনো তদন্ত শুরু না হলেও সামান্য গজ ব্যান্ডেজ চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর কোন তদন্তই ছাড়াই বহাল তবিয়তে চাকরি করছে ওষুধ চোর সাইফুল ইসলাম।   সূত্র জানিয়েছে গত১৫ জুলাই যশোর জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্সের বিরুদ্ধে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রয়ের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে    ঐদিন (১৫ জুলাই) যশোর শহরস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিলন ঢালী কর্তৃক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের জীবসানা, সফরোল, গজ, ব্যান্ডেজ, বিপি ব্লেড ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য সরবরাহকৃত প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি হাসপাতালের কর্মচারী ওসমানের মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রোগীর ট্রলীতে করে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরঞ্জামাদি হাসপাতালের বাইরে নেওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উপস্থিত যুবকদের চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টির সমাধান হয় জানা গেছে। জরুরি বিভাগে কর্মরত অবৈতনিক কর্মচারী শাকিল হোসেন, ওসমান ও হৃদয় নামক তিনজন মিলন ঢালীর এই অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে।জরুরী ইনচার্জ মোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, মিলন ঢালীর কাছে জরুরী বিভাগের লকারের চাবি থাকে। এছাড়াও তিনি উক্ত বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান, মিলন ঢালী বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তিনি এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  এর আগে যশোর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা  স্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম দুর্নীতির মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকার ঔষধ চুরি করে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠলে আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ‌।ওষুধ আত্মসাৎ ও টাকা তসরুপ এর অভিযোগ সহ নানা অভিযোগে তাকে মনিরামপুরে বদলি করা হলে স্টোর এর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আগে লাখ লাখ টাকার ঔষধ পাচার করে ও চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দিলেও সেই ঘটনায় আজও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে তদন্ত ব্যবস্থা করেননি।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ তার পক্ষ অবলম্বন করায় সেই সময় ঘটনাটি আজও ধামাচাপা পড়ে আছে। সচেতন মহল অবিলম্বে স্টোর কিপার সাইফুল ইসলামের ওষুধ চুরির ঘটনা তদন্ত পূর্ব ক ব্যবস্থা করানোর জন্য দাবি জানিয়েছে।