ঢাকা অফিস: বিএনপির কার্যালয় থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ৭ জনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমাম হোসেন, বিএনপি কর্মী মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ টেনু , মোঃ মনির হোসেন ও বরকত হাওলাদার।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো: কবির হোসেন হাওলাদার। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর এলাকায় নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতরে ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করে। পরে পুলিশের অভিযানে ৫৫টি ককটেল, বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর খাটের তোশক নীচ হতে দুইটি পাইপগান, পুরাতন তিনটি ওয়ান সুটারগান, একটি পিস্তল ও ২১০ টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
