যশোর প্রতিনিধি
যশোরের পল্লীর কিসমত হৈবতপুর ভোট কেন্দ্র থেকে বহুলালোচিত প্রতারক সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শামছুর রহমান নীরব ও শারমিন আরাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা ওই ভোটকেন্দ্রসহ আরো কয়েকটি কেন্দ্রে ও তার আশেপাশে চলমান নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে কয়েক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ও এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
৫ জুন দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং করে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ এলাকার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ওই দুইজন চলে আসেন যশোর সদর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে। তারা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বশীল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং ভোট গ্রহণে দায়িত্বশীলদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে অবাধ ঘোরাফেরা করছিলেন। এছাড়া কিছু প্রার্থীর বিপক্ষে কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়াচ্ছিলেন। একই সাথে একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নানা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। যা নির্বাচনে আচরণবিধি সহ প্রচলিত আইন পরিপন্থী। এ ঘটনায় কয়েকজন প্রার্থীর এজেন্ট পুলিশকে অভিযোগ করলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আর প্রতারক নীরব ও শারমিন আরাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। হৈবতপুর ভোট কেন্দ্র থেকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা যশোরে ভোট কেন্দ্র এলাকায় আসার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি। অনৈতিকভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য ছড়ানো, কয়েক প্রার্থীর বিপক্ষে ও এক প্রার্থীর পক্ষ অবস্থান নিয়ে পরিবেশ উত্তেজিত করছিলেন। তারা মাতৃজগত নামে একটি অনলাইনের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়েছেন শেষমেষ। তাদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
নীরব ও শারমিন আরাকে আটকের বিষয়ে অভিযানিক অফিসার উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার আরো নানা অভিযোগ আসছে, খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেযা হবে।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে ২০২০ সালের ১৬ মে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর মোল্লাপাড়া থেকে ৪ জনকে আটক করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক নামধারী এই প্রতারক শামছুর রহমান নীরব (৩২)। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। বর্তমানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি অখ্যাত পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়েও চলেন এই নীরব।
ওই সূত্রের আরো দাবি. ঝিনাইদহে ফেসবুক ও বুম প্রতারক হিসেবে কুখ্যাত শারমিন আরা। তিনি সাংবাদিক সেজেনিজে বুম তৈরি করে লাইভ করেন। আর মানুষকে ব্লাক মেইলিং করেন বলেও অনেক অভিযোগ রয়েছে এই শারমিন আরার বিরুদ্ধে।