বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার কোনো কারণ নেই ওবায়দুল কাদের

ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ওপর দেশের মানুষ খুশি ও তার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার এখানে অ্যাকশনে আছে কি না? কাজ করে যাচ্ছে, ফল এক সময় আসবে। কাজে তো আন্তরিকতা, চেষ্টা কোনোরকম কমতি নেই। আজকে সারাবিশ্বের যে অবস্থা, বাজার পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভালো নেই। বিশ্বের সব কিছু আগের মতো সস্তা সুলভ- এটা মনে করার কারণ নেই। সারা বিশ্বেই বাজার পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। সারা বিশ্ব এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজ। এখন বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার কোনো কারণ নেই।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরকারের পরিবর্তন চাইলে সে পরিবর্তনের জন্য আরেকটা নির্বাচনের অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা খোলা নেই। গণতন্ত্রে এটাই নিয়ম।”

বিএনপি নেতাকর্মীরা আরাম আয়েশে ছুটি কাটাচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের কর্মী বাহিনী যাদের মাঠে নামিয়েছিল ক্ষমতা খুব সন্নিকটে এমন আশা দিয়ে, সে কর্মীরা এখন সারা দেশে হতাশ। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সে অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে।ঔ

ওবায়দুল কাদের বলেন, “জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, আন্দোলনে নেই। শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীদের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যিনিই দেবেন দায়িত্বশীল যারা তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলকে বিরত থাকা উচিত।

বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, “এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত এটা ক্ষতিয়ে দেখার বিষয় আছে। যারা আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, এই সিন্ডিকেট সরকার বিরোধীতা থেকে হচ্ছে কি না ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, “পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য চেষ্টা চলছে। প্রশাসনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।